চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনে জমি বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের দুই নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে শশীভূষণ-দক্ষিণ আইচা থানার সিমান্তবর্তী এলাকার চরমানিকা গ্রামের বেপারী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিরোধীয় জমিতে এ হামলার ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন,সুরমা বেগম, জোছনা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফোরকান, রাকিব, রাজিব ও ফারুক মিয়া। এসময় হামলাকারীরা আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি চরফ্যাসন উপজেলা সদর হাসপাতালে আসার পথে বেপারী বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় আটকে রাখে প্রতিপক্ষরা। পরে শশীভুষণ থানা পুলিশের সহয়তায় আহতদের মধ্যে দুই নারীসহ ৫জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদেও পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সুরমার স্বামী ফারুক মিয়া জানান, চরআইচা মৌজায় এসএ ৪নং খতিয়ানে ৬একর ২৮ শতাংশ জমির খরিদ সুত্রে মালিক আমার বাবা আবদুর রহিম ও চাচা হানিফসহ তারা ৭ভাই। একটি দলিলে আমার বাবা আবদুর রহিম, চাচা হানিফ, হারিছ, রহিম, নুরুল হক, বশির, লতিফ, সোলেমান ২একর ৯৮শতাংশ জমির মালিক। অপর একটি দলিলে চাচা হানিফ, হারিছ, নুরুল হক ও আনছল হক ৩ একর ৩০শতাংশ জমির মালিক। তাদের ওয়ারিশরা দলিল মুলে ভোগ দখলে আছেন। কিন্তু দিয়ারায় ভুল বসত পুরো জমি আমার চাচা হারিছের নামে রেকর্ড হয়। শুক্রবার বিকেলে মৃত চাচা হারিছের ওয়ারিশ জামাল ও সোহেলের নেতৃত্বে আমার চাচা নুরুল হক মিয়ার ওয়ারিশদের এবং আমাদের দীর্ঘ সময়ের ভোগ দখলীয় ওই জমি জোড় পুর্বক দখল করতে গেলে আমরা বাঁধা দেই। এসময় জামাল, সোহেল, মিঠু, হাফিজুর রহমান, লোকমান, আলী হোসেন সিকদার এবং তাদের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাদের দুই নারীসহ ৭জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। স্থানীয়দের সহয়তায় আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে আনার পথে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তায় আটকে রেখে তাদের ওপর আবারও হামলা চালায় ওই হামলাকারীরা। খবর পেয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠান। এঘটনায় মামলা দয়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
ফারুক আরো জানান, সোহেল অসৎ প্রকৃতির লোক হওয়ায় সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকুরী হারিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর অনন্যা কায়ছার ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তে তার স্ত্রীর অভিযোগ সমুহ প্রমানিত হওয়ায় তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত হয়ে এখন এলাকায় থেকে আমাদেরকে অযথা হয়রানি করছেন। অভিযুক্ত সোহেলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ গিয়ে প্রতিপক্ষের কবল থেকে আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে দিয়েছে। তবে জমি নিয়ে হামলার ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply